অফিসে ধর্মীয় পোশাক, যে যুক্তি দিলেন জনস্বাস্থ্যের পরিচালক

স্বা’স্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি জনস্বা’স্থ্য ইন্সটিটিউটের মু’সলিম নারী ও পুরুষ কর্মকর্তাদের ইসলাম ধর্মীয় বিধানমতো কাপড় পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম।

অফিস বিজ্ঞপ্তি জারি করে আব্দুর রহিম তার প্রতিষ্ঠানের পুরুষ কর্মকর্তাদের পায়ের গোড়ালির ও’পরে পোশাক পরার এবং নারী কর্মকর্তাদের হিজাবসহ গোড়ালির নিচে পর্যন্ত কাপড় পরিধানের নির্দেশ দিয়েছেন।

তবে স্বা’স্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন অফিসে পোশাক পরিধান নিয়ে কোনো নির্দেশনা স’রকার বা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দেয়া হয়নি।

সেকারণে কোনো বিধি বলে বা কার নির্দেশে পরিচালক বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা দাবি করে পরিচালককে জবাব দেয়ার তিন দিনের সময় দিয়েছে স্বা’স্থ্য মন্ত্রণালয়।

এ ধরণের আদেশের কারণ প্রসঙ্গে আব্দুর রহিম বলেছেন, ‘সারা দেশে ধ”ণের মতো ঘটনা ঘটছে। সবাই ঠিক মতো ধর্মীয় বিধান মানলে তো এমন অবস্থা হতো না। তাই আমি আমার অফিসের সবাইকে সে অনুযায়ী পোশাক পরিধান করতে বলেছি।’

কিন্তু একটি স’রকারি অফিসে তিনি এ ধরণের ধর্মীয় ড্রেস কোড চালু করতে পারেন কি না – এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো কোনো ড্রেস কোড চালু করিনি। শুধু সবাইকে বলেছি মু’সলিমরা যেন তাদের ধর্ম অনুযায়ী পোশাক পরে অফিসে আসেন। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী জীবন যাপন জরুরি বলেই মনে করি আমি।’

জনস্বা’স্থ্য ইন্সটিটিউট স্বা’স্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে এবং তাই অফিস কর্মকর্তা কর্মচারীদের পোশাক নিয়ে এ ধরণের নির্দেশ

দেয়ার আগে মন্ত্রণালয় বা স’রকারের অনুমতি নেয়া হয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না অনুমতি নেইনি। কারণ এটা তো আমি আমার ইন্সটিটিউটের জন্য দিয়েছি।’

আব্দুর রহিম ওই আদেশে কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিসের সময়ে মোবাইল ফোন সাইলেন্ট বা বন্ধ করে রাখারও নির্দেশনা দিয়েছেন।

বাংলাদেশে জনস্বা’স্থ্য ইন্সটিটিউট রো’গ প্রতিরোধ বি’ষয়ে গবেষণা, প্রশিক্ষণ, প্রকাশনাসহ নানা বি’ষয়ে কাজ করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি চিকেন পক্স, কলেরা, টাইফয়েড সহ নানা ধরণের রো’গের ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে। একই সঙ্গে তারা বায়োলজিক্যাল রি-এজেন্ট উৎপাদন ও বায়লজিক্যাল প্র’ডাক্টগুলোর মান নিয়ন্ত্রণ সহ এসব কাজের ফোকাল প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালন করছে।